বলি বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করলেন না মুম্বাই মেট্রোপলিটন আদালত। বৃহস্পতিবার আরিয়ানকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন আদালত। এই রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শাহরুখ নিযুক্ত আইনজীবী আরিয়ানের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি আদালত। আপাতত রুদ্ধদ্বার কক্ষেই দিন কাটবে আরিয়ানের।
তার দুই সঙ্গী আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধমেচার জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করেনি আদালত। এদিকে আরিয়ান খান আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার বাবা-মা রয়েছে, পরিবার এখানে থাকে। আমি ভালো ঘরের ছেলে। আমি কোথাও পালিয়ে যাব না’। শুক্রবারআদালতে শুনানিতে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিতভাবে শাহরুখপুত্র এসব কথা জানান।
কিন্তু তাতে মন গলেনি আদালতের। নিজের আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডের মাধ্যমে আরিয়ান খান আদালতকে বলেন, ‘আমার বয়স ২৩ বছর, আমার কোনো ক্রিমিন্যাল রেকর্ড নেই। আমাকে প্রমোদতরীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তারা মাদক নিতে বলেছিল, আমি অস্বীকার করেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে আর কোনো অভিযোগ নেই। আমার ফোনের সব ডেটা সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’ এনসিবির কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে কোনো মাদক পায়নি দাবি করে আরিয়ান আদালতে দাবি করেন, ‘আমার কাছ থেকে কোনো ধরনের মাদক উদ্ধার হয়নি। আর যে চ্যাটিংয়ের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো আমি বিদেশে থাকার সময়ে করেছিলাম। ’ এরপর জামিনের জন্য আদালতের কাছে বিনীত অনুরোধ জানান, ‘আমার বাবা-মা রয়েছে, পরিবার এখানে থাকে। আমি ভালো ঘরের ছেলে।
আমার ভারতীয় পাসপোর্ট রয়েছে, আমি কোথাও পালিয়ে যাবো না। তথ্য-প্রমাণ লোপাটের কোনো চেষ্টাও করব না।’ গত ২ অক্টোবর গোয়াগামী একটি প্রমোদতরীতে অভিযান চালায় ভারতের নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি)। সেখান থেকে আটক হন আরিয়ান। পরদিন আরিয়ানকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।